ইমদাদুল উলুম রশিদিয়া প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

0
136

ইমদাদুল উলূম রশিদিয়া মাদরাসাটি খুলনায় অবস্থিত কওমী মাদরাসাগুলোর মধ্যে একটি পরিচিত নাম। খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন ফুলবাড়ীগেট বাজার সংলগ্ন টিবি হাসপাতাল রোডে অবস্থিত। এলাকায় এটি নৈশ মাদরাসা নামেও পরিচিত। বালক ও বালিকা উভয় শাখাসহ দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত সাত শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে চলমান এ মাদরাসাটির সূচনা হয় অনেকটা অনানুষ্ঠানিকভাবে।
১৯৭৬ সালে শুরু হওয়া এ মাদরাসাটির গোড়ায় থাকা কিছু মানুষকে ইতিমধ্যে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। ভাগ্যক্রমে এখনো যাদের দেখা মিলছে তাদের মধ্যে জনাব শাহ আলম সাহেব এবং আব্দুল করিম সাহেবকে ২৩-০৩-২০১৮ তারিখ সকালে আর হিমায়েত হোসেন চৌধুরী (হিমু) সাহেবকে ঐ দিন মাগরিবের পরে মাদরাসায় আসার আবেদন জানিয়ে ছিলাম। সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ আমাদের আহবানে সাড়া দিয়ে মাদরাসায় আগমন করেন। আর ঐ সম্মানিত দলের সবচেয়ে বর্ষীয়ান সদস্য টিবি হাসপাতালের সাবেক কর্মচারি জনাব গোলাম হোসেন সাহেবের সাথে ২৪-০৩-২০১৮ তারিখ দুপুরের পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলি।
আমি তাঁদের সকলের নিকট মাদরাসার সূচনার কিছু কথা শুনার আবেদন জানালে তাঁরা বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেন। আমি তাঁদের বর্ণনা থেকে যা পেয়েছি তা নি¤েœ পেশ করা হলো। জনাব শাহ আলম সাহেব এবং আব্দুল করিম সাহেব অনেকটা যৌথভাবেই বলতে শুরু করলেন যে, আমরা কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব ফুলবাড়ীগেট বাজারে অবস্থিত জনাব খোকন সাহেবের দর্জি দোকানে সকাল-সন্ধা একত্রিত হতাম। এখানে বিভিন্ন ধরনের গল্প-গুজব হতো এবং চা-নাস্তা খাওয়া হতো। আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলে আমরা দুজন ছাড়া আরো ছিলেন খোকন টেইলার্সের মালিক জনাব খোকন সাহেব, এ্যাজাক্স জুট মিলস-এর তৎকালিন ইমাম জনাব হাফেজ আব্দুর রশিদ সাহেব, গাজী ফারুক হোসেন, আনসার চৌধুরী প্রমুখ। তখন ব্রিটেন থেকে একটি পত্রিকা বের হতো ‘ষ্টোলোজার’ নামে বা ভবিষ্যৎ বাণী। ঐ পত্রিকায় একদিন একটি সংবাদ প্রকাশিত হলো যে, ‘ইমাম মেহদীর জন্ম হয়ে গেছে এবং তাঁর বয়স এখন দু’বছর’। ঐ খবরটি দেখে আমরা একটা আলোচনা করলাম যে, ইমাম মেহেদীর জন্ম যখন হয়েছে তখন আমাদের বসে থাকা চলবে না। বরং আমাদের একটি কাফেলা গঠন করতে হবে যে কাফেলা নিয়ে আমরা তাঁর সাথে যুক্ত করতে পারি। আর সে কাজের জন্য আমাদের একটি জায়গা থাকা দরকার যেখানে আমরা একত্রিত হবো। কিছু ইসলামী বই-পুস্তক রাখবো এবং নিজেরা পড়বো। তখন খোকন ভায়ের দোকান ছোট এবং তার বেচা-কেনার সমস্যা হবে বিধায় আমরা এর নিকটে অবস্থিত শেখ শাহমতুল্লাহ সাহেবের একটি কাঠের দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে বসার চিন্তা করলাম। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানতে চাইলেন যে, আপনাদের মধ্যে ভাড়াটিয়া হিসেবে দায়িত্বশীল কে থাকবে? তখন খোকন ভাই বললেন যে, আমি থাকবো। এ কথার ভিত্তিতে তিনি আমাদেরকে দোকানটি ভাড়া দিলেন। আমরা সেখানে একত্রিত হতে থাকলাম। তখন এ্যজাক্সের ইমাম সাহেব বললেন আমরা এভাবে বসে না থেকে সন্ধার পরে বয়স্ক মানুষদেরকে একটু নামায-রোজার শিক্ষা দেই এবং কিছু আরবী পড়াই সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। আমরা এ প্রস্তাবকে ভালো মনে করে তাই শুরু করলাম।
তখন দিন দিন মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকলো। শেখ শাহমতুল্লাহ সাহেব আমাদের থেকে মাত্র এক মাসের ভাড়া নিয়েছিলেন। এরপর তিনি যখন দেখলেন যে, মানুষ আগ্রহ করে দ্বীন শিখছে তখন তিনি আমাদের থেকে আর ভাড়া নিলেন না। বরং বলে দিলেন যে, আমাকে ভাড়া দিতে হবে না। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন এটা বন্ধ না হয়। ক্রমান্বয়ে এটা আরো উন্নতি লাভ করতে থাকলো। যদিও এর সূচনা হয়ে ছিলো রাতের ক্লাসের মাধ্যমে আর সে কারণেই এটা অত্র অঞ্চলের মানুষের নিকট নৈশ
মাদরাসা নামেও পরিচিত। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই নৈশ লেখা-পড়ার সুনাম এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কিছু ছেলে-মেয়েরা দিনের বেলাতেও এখানে আসতে শুরু করে। তখন আমরা আগ্রহী হয়ে তাদেরকেও পড়াতে আরম্ভ করি। জনাব শাহ আলম সাহেব বলেন, তখন দিনের বেলা পড়ানোর কাজে আমিই বেশী সময় দিতাম। তখন থেকে নিয়োমিত মাদরাসার প্রয়োজনীয়তা অনুভব হতে থাকে। তখন শেখ শাহমতুল্লাহ তাঁর উক্ত দোকানের সাথে সংলগ্ন নিজের জায়গা থেকে মাদরাসার জন্য কিছু জায়গা দান করায় সম্মত হলে আমরা উদ্বোক্তারা মিলে যশোরের মুহাদ্দিস সাহেব হুজুর নামে খ্যাত মাওলানা আবুল হাসান যশোরী রহ.-এর নিকট বিষয়টি পেশ করি। তিনি মুরব্বি হিসেবে পরামর্শ দানে সম্মত হোন এবং আমাদের আকাবিরদের খ্যাতনামা দুই বুজুর্গের নাম অনুসারে মাদরাসাটির নাম ইমদাদুল উলূম রশিদিয়া মাদরাসা রাখা হয়।
সেই থেকে যশোরের মুহাদ্দিস সাহেব হুজুরের দুআর মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে নিয়োমিত মাদরাসা হিসেবে এর আত্মপ্রকাশ ঘটে। এ বিষয়গুলো শেখ শাহমতুল্লাহ রহ. বিভিন্ন সময় মাদরাসার নামে মোট ১২.৫৩ শতক জায়গা দান করে মাদরাসাটি দাঁড় করার কাজে বড় ধরনের ভুমিকা পালন করেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাতের উ”চ মাকাম দান করুন। তিনি সর্বপ্রথম ৩ শতক জায়গা ওয়াকফ করেন ০১-১০-১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে।
অতঃপর ১.০৩১ শতক জায়গা ওয়াকফ করেন ২৮-০৮-১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে। আর সর্বশেষ ৮.৫ শতক জায়গা ওয়াকফ করেন ২৪-০৭-১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে। জনাব হিমায়েত হোসেন চৌধুরী সাহেবের বর্ণনা থেকেও অনুরূপ ঘটনার সমর্থন মেলে। জনাব গোলাম হোসেন সাহেব এর সাথে আরো সংযোজন করেন যে, মাদরাসার বর্তমান সীমানার মধ্যে তাঁর নিজের একটি কবরের জায়গা রাখা ছিলো। তিনি মাদরাসার প্রয়োজনে সে জায়গাটিও দান করে দেন। মাদরাসার এ পর্যায়ে এসে এ্যাজাক্স জুট মিলস-এর ইমাম সাহেব নিয়মিত পাঠদান করতে না পারলেও ইমামতির ফাঁকে ফাঁকে দিনের বেলায় মাদরাসায় পড়ানোর কিছু খেদমত করতেন। কিন্তু তাতে মাদরাসার পাঠদান যথেষ্ট না হওয়ায় স্বতন্ত্র শিক্ষকের প্রয়োজন দেখা দেয়। তখন নিয়োমিত পড়ানোর জন্য আমরা স্বতন্ত্র একজন শিক্ষক রাখি।
অবশ্য আমরা তাঁর বেতন-কড়ি ঠিকমত দিতে না পারায় তিনি বেশী দিন থাকতে পারেননি। এভাবে আমরা আরো কয়েকজন শিক্ষক রাখি। কিন্তু একই সমস্যার কারণে আমরা কাউকেই স্থায়ী করতে পারিনি। এমনকি ঘন ঘন শিক্ষক চলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে মানুষ আমাদের প্রতি এ ধরণের বিরূপ ধারনাও করতে থাকে যে, আমরা আলেমদের সাথে ভালো ব্যবহার করছি না, তাই তারা চলে যা”েছন। মাদরাসার এহেন ক্রান্তি লগ্নে এ্যাজাক্স জুট মিলস-এর কর্মকর্তাগণ মাসিক অনুদান দিতে আরম্ভ করেন এবং কর্মচারীদের বিলের খুচরা পায়সাও আলোচনার ভিত্তিতে মাদরাসার জন্য বরাদ্দ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সোনালী জুট মিলস-এর কমকর্তা-কর্মচারীগণ একই ধরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ফলে মাদরাসার আর্থিক সংকট বেশ খানিকটা কমে আসে। কিন্তু মাদরাসা পরিচালনায় আমাদের অভিজ্ঞতা না থাকায় আমরা সোনালী জুট মিলস-এর তৎকালিন ইমাম হাফেজ মাওলানা নিজামুদ্দীন সাহেবকে অনুরোধ করি যে, আপনি মাদরাসার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আর আমাদেরকে দিয়ে যেভাবে ই”ছা হয় সেভাবে কাজ করিয়ে নিন। তিনি এ প্রস্তাবে সম্মত হয়ে মাদরাসার মুরব্বি হিসেবে হাল ধরলেন। মাদরাসার জায়গায় একটি পঞ্জেগানা মসজিদও তৈরী করা হয়। মুসল্লীদের অযু-গোসলে জন্য তখন মাদরাসা অভ্যন্তরে একটি ছোট পুকুর ছিলো। পুকুরটিকে আরো খনন করে একটু প্রশস্ত করা এবং অযু-গোসলের সুবিধার্থে ঘাটলা পাকা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে অত্র অঞ্চলের বহু মানুষ এ কাজে অংশ গ্রহণ করেন। খুলনা ক্লাব এবং ফুলতলা ক্লাবের কিছু যুবকরাও স্বে”ছা শ্রম দানের মাধ্যমে উক্ত খনন কাজে সহযোগিতা করে।
যোগীপোল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বেগ শামছুর রহমান সাহেব তাদেরকে মেহমানদারীর খেদমত আঞ্জাম দেন। এছাড়াও তিনি মাঝে-মধ্যে ছাত্র-শিক্ষক ও মাদরাসার উদ্বোক্তাদের খানা খাওয়াতেন এবং মাদরাসার অন্যান্য সহযোগিতা করতেন। মাদরাসার ছাত্র বেড়ে যাওয়ায় জায়গার সংকট দেখা দিলে মাদরাসার উক্ত পুকুরটি আবার ভরাট করে জায়গা সম্প্রসারণ করা হয়। এ কাজের পুরোটা অর্থ দান করেন রূপসার একজন হাজী সাহেব। এ অঞ্চলসহ অন্যান্য অঞ্চলের বহু মানুষ মাদরাসার শুরু দিকে শ্রম দিয়ে, অর্থ দিয়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে। আখেরাতে বড় পাওনার আশায় তাদের অনেকে নিজেকে গোপন রেখে মাদরাসার জন্য কাজ করেছেন।
আমরা তাদের নাম-পরিচয় খুঁজে না পওয়ায় তুলে ধরতে পারছি না। অবশ্য যারা যেভাবে মাদরাসার জন্য সহযোগিতা দিয়েছে আমরা তাদের সকলের জন্য আল্লাহ তাআলার দরবারে দুআ করি। মাদরাসার শুরুতে বিশেষ মেহনতকারী হিসেবে আমরা আরো যাদের নাম খুঁজে পেয়েছি তাদের মধ্যে আলহাজ্ব আলী আহামদ রহ., প্রফেসর আব্দুল হান্নান, প্রফেসর আব্দুস সামাদ, জনাব ইবরাহিম রহ., জনাব খোকন মোল্লা, জনাব হারুনুর রশিদ, জনাব দেলোয়ার হোসেন, মৌলভী আঃ জব্বার রহ., শেখআতিয়ার রহমান, উইলিয়াম মকবুল হোসেন রহ., এ্যডভোকেট আবু তালেব, জনাব হারুনুর রশিদ (উস্তাদ), মুন্সি আঃ সামাদ, মরহুম মোশরেফ শিকদার এবং জনাব লুৎফর রহমান রহ. অন্যতম। শুরু থেকে মাদরাসা নিতান্ত ছোট থাকায় নিয়মিত মুহতামিম হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেয়া ছিলো না। তারপরেও শিক্ষকদের মধ্যে বিভিন্ন সময় প্রধানের ভূমিকা পালনকারী যাদের নাম আমরা খুঁজে পেয়েছি তাদের মধ্যে হাফেজ আঃ রশিদ, কারী মুহিব্বুল্লাহ, মাওলানা ইদ্রিস আলী, জনাব নূরুন্নবী, জনাব নূরুল হক নেজামী এবং হাফেজ উবায়দুল্লাহ অন্যতম। এরপর ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুহতামিম হিসেবে মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন হযরত মাওলানা শাহ জামাল সাহেব দামাত বারাকাতুহুম যিনি বর্তমানে খালিশপুর তৈয়বা মাদরাসায় মুহাদ্দিস হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর পরে মুহতামিম পদে দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা সিরাজুল ইসলাম দামাত বারাকাতুহুম যিনি এখন ফুলবাড়ীগেট জামেয়া কারিমিয়ায় কর্মরত আছেন।
তাঁর পরে মুহতামিম পদে দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক দামাত বারাকাতুহুম যিনি এখন ফুলবাড়ীগেট জামেয়া কারিমিয়ায় মুহতামিম হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর পরে মুহতামিম পদে দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা আশরাফ আলী দামাত বারাকাতুহুম যিনি এখন কুয়েট গেটের সামনে মাদরাসায়ে নূরে মদীনায় কর্মরত আছেন। তাঁর পরে মুহতামিম পদে দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা একরামুল হক রহ.। তাঁর পরে মুহতামিম পদে দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা এস্কেন্দার আলী দামাত বারাকাতুহুম যিনি এখনও অত্র মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর পরে মুহতামিম পদে দায়িত্ব পালন করেন হাফেজ মাওলানা জাহিদুল ইসলাম দামাত বারাকাতুহুম যিনি এখনও অত্র মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর পর ০১- ১১-২০০৮ তারিখ হতে অদ্যাবধি আমার উপর মুহতামিমের দায়িত্ব অর্পিত রয়েছে। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সাহেব মুহতামিম থাকা অবস্থায় তিনি এবং শিক্ষকবৃন্দ এবং তৎকালীন মাদরাসার পরিচালকবৃন্দ মেয়েদের লেখা-পড়ার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে অত্র মাদরাসার অধিনে একটি মহিলা শাখা চালু করার জন্য ৩১ শতক জায়গা ক্রয় করেন। অতঃপর ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে ঐ জায়গার উপর একটি মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লাহ তাআলার রহমাত এবং পরিচালকদের আন্তরিকতার বাদৌলতে যা আজ দাওরায়ে হাদীস মাদরাসায় উন্নীত হয়েছে। মাদরাসার শুরু থেকে এলাকাবাসী যে সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছিলেন তার ধারাবাহিকতা আজও চলমান রয়েছে। বর্তমানে জীবিত আছেন বা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন এমন বহু মানুষ মাদরাসার জন্য অনেক বড় বড় অঙ্কের আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের সকলের নাম তালিভূক্ত করা বেশ খানিকটা দুঃসাধ্যই বটে। এ কারণে তাঁদের নাম স্মরণিকার কাগজে সংরক্ষনের চেষ্টা করার চেয়ে আল্লাহ তাআলার নেক বান্দাদের লিষ্টে সুনামের সাথে সংরক্ষিত হোক সে দুআ করাই শ্রেষ্ঠ মনে করছি। 

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here