১। সকল ছাত্রী সর্বদা মাদরাসার অভ্যান্তরে অবস্থান করবে।
২। কোন ছাত্রী বহিরাগত কাউকে বা নিজের কোন আতিœয়-স্বজনকে নাজেমায়ে দারুল ইকামা’র অনুমতি ব্যতীত মাদরাসার ভেতরে রাতযাপন করাতে পারবে না।
৩। নিজ নিজ রুমের নিগরাণ খালাম্মার অনুমতি ব্যতীত কোন ছাত্রী কারো সাথে
কোন প্রকার লেন-দেন করতে পারবে না।
৪। পরস্পর গালমন্দ করা, ঝগড়া-ঝাটি করা কিংবা মারামারি করা যাবে না। আপসে কোন প্রকার মতানৈক্য সৃষ্টি হলে নিগরাণ খালাম্মাকে অবহিত করবে এবং তাঁর দেয়া সুরাহা মেনে চলবে। কোন ভাবেই বিচার নিজের হাতে তুলে নিতে পারবে না।
৫। কারো কোন জিনিস কেউই বিনা অনুমতিতে ধরবে না বা ব্যবহার করবে না।
৬। নিগরাণ খালাম্মার অনুমতি ব্যতীত এক রুমের ছাত্রী অন্য রুমে যেতে পারবে না। সকলে আপন আপন সিটে বসেই লিখা-পড়া করবে।
৭। সকল ছাত্রী সর্বক্ষণ দারুল ইকামা’য় উপস্থিত থাকবে। কাউকে অনুর্ধ দুইবার ইকামা’র হাজিরায় অনুপস্থিত পেলে তার সিট কেটে দেয়া হবে।
৮। রাজনৈতিক কোন দল বা কোন ছাত্র সংগঠনের কাগজপত্র, শরীয়ত পরিপন্থী বই পুস্তক, উপন্যাস, দৈনিক, সপ্তাহিক, পাক্ষিক বা মাসিক পত্রিকা ইত্যাদি পড়া বা সংরক্ষণ করা যাবে না।
৯। টেলিভিশনে খেলা-ধুলা বা সংবাদ দেখাসহ যে কোন প্রকার অনুষ্ঠান দেখা থেকে সম্পূর্ণভাবে বেঁচে থাকতে হবে।
১০। গায়রে দরসী কোন ধর্মিয় বই-কিতাব পড়তে হলে নিগরাণ/নাজেমায়ে দারুল ইকামা’র অনুমতি নিতে হবে।
১১। নিজস্ব বা অন্য কারো মোবাইল ফোন ব্যবহার বা সংরক্ষণ করা যাবে না। বাড়ীতে যোগাযোগ করতে হলে নিগরাণ খালাম্মার ফোন দ্বারা করবে।
১২। আসর থেকে মাগরিবের পূর্বেই প্রয়োজনীয় মোবাইল যোগাযোগ করবে।
১৩। হাত মোজা, পা মোজাসহ ঢিলা-ঢালা নেকাব যুক্ত বোরকা পরিধান করতে হবে।
১৪। পোশাক-পরিচ্ছেদ, খানা-পিনা, অযু-ইস্তিঞ্জা, ঘুম ইত্যাদি সবই ছুন্নাত তরীকা অনুযায়ী হতে হবে।
১৫। সর্ট কামিজ, স্কিন টাইট পাজামা, হালকা ও ছোট উড়না ইত্যাদিসহ ছুন্নাত পরিপন্থি কোন প্রকারের পোষাক ব্যবহার করা যাবে না।
১৬। পরস্পরের মধ্যে খুব বেশী সালামের প্রশার ঘটাতে হবে।
১৭। ফজর, জোহর ও মাগরিবের ১০ মিনিট পূর্বে আর আসর ও ইশার ৫মিনিট পূর্বে সকলেই নামাযের স্থানে উপস্থিত হতে হবে।
১৮। নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত অন্য সময়ে শুইতে হলে গ্রহণযোগ্য কারণ দর্শিয়ে নিগরাণ খালাম্মার নিকট থেকে অনুমতি নিতে হবে।
১৯। উল্লিখিত কানূনসমূহ ব্যতীত বিভিন্ন সময়ে আরো যে সকল কানূন মাদরাসার পক্ষ থেকে আরপিত হবে তার সবই মেনে চলতে হবে।
২০। কেউ উপরোক্ত এক বা একাধিক কানূনের খেলাফ করলে সে কঠোর শাস্তির, এমনকি বহিস্কারের উপযুক্ত বিবেচিত হবে।