১। সুবহে সাদিকের ৩০ মিনিট পূর্বে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে ইস্তিঞ্জা-অযু থেকে ফারেগ হয়ে কমপক্ষে ৪ রাকাত
তাহাজ্জুদ নামায আদায় করবে।
২। তাহাজ্জুদ নামাযের পরে দুআ করে ছবক ইয়াদ করতে থাকবে এবং ফজরের ১০ মিনিট পূর্বে মসজিদে যাবে।
৩। ফজরের ছুন্নাত আদায় করে জামাতের পূর্ব পর্যন্ত নিরবে কুরআন তিলাওয়াত করতে থাকবে।
৪। নামায শেষে সূরা ইয়াসীন তিলাওয়াত যিকির এবং দুআয় অংশ গ্রহণ করবে।
৫। দুআ শেষে জামাত বিভাগের হাফেজ ছাত্ররা মসজিদে বসে দুই দুইজন করে আধা পারা কুরআন শরীফের দাওর করবে।
৬। আর যে সকল ছাত্র হাফেজ নয় তারা দুআ শেষে নিজ নিজ রুমে গিয়ে আধা ঘন্টা কুরআন তিলাওয়াত করবে।
৭। গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ ১লা এপ্রিল থেকে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত সকালে তেলাওয়াতের পর থেকে সকাল ৬ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ছবক ইয়াদ ও মুতালাআ করবে এবং ৬.৪৫ থেকে ৮টা পর্যন্ত বিশ্রাম নিবে।
৮। ঘুম থেকে উঠে ৮টা ২৫মিনিটের মধ্যে ওযু-ইস্তিঞ্জা সেরে দরসের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।
৯। শীতকালে অর্থাৎ ১লা নভেম্বর থেকে ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত বাদ ফজর তিলাওয়াতের পর থেকে ৭টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ছবক ইয়াদ এবং
মুতালাআ করবে, এরপর ৭টা ১৫ মিনিট থেকে ৮টা ১৫মিনিট পর্যন্ত বিশ্রাম নিবে।
১০। ঘুম থেকে উঠে ৮টা ৪০মিনিটের মধ্যে ওযু-ইস্তিঞ্জা সেরে দরসের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য:- জামাত বিভাগের ছাত্ররা নিতান্ত প্রয়োজন ব্যতীত উক্ত সময় ছাড়া অন্য কোন সময়ে গোসল করতে পারবে না।
১১। অতঃপর দুই রাকাত ইশরাকের নামায পড়ে গ্রীষ্মকালে ৮টা ৩০ মিনিটের এবং শীতকালে ৮টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে দরসে হাজির
হবে।
১২। গ্রীষ্মকালে ৮ টা ৩০ মিনিট থেকে ১২ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এবং শীতকালে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্লাস রুটিন অনুসরণ করে চলবে।
১৩। এরপর ইস্তিঞ্জা অযু থেকে ফারেগ হয়ে জোহরের নামাযের ৭ মিনিট পূর্বে মসজিদে উপস্থিত হবে।
১৪। নামাযের পর খানা খাওয়াসহ অন্যান্য প্রয়োজন থেকে ফারেগ হয়ে ২ টা ১৫ মিনিটের মধ্যে দরসে উপস্থিত হবে।
১৫। র্দস শেষে আসরের আজান পর্যন্ত তাকরার, মুযাকারা এবং ছবক ইয়াদ করবে।
১৭। অতঃপর ইস্তিঞ্জা অযু থেকে ফারেগ হয়ে আসরের নামাযের ০৫ মিনিট পূর্বে মসজিদে উপস্থিত হবে।
১৮। আসরের নামায শেষে ছাত্রদের জন্য অনুষ্ঠেয় বিশেষ তা’লীমে বসবে।
১৯। তা’লীম শেষে মাদরাসা অভ্যন্তরে থেকে হাতের লিখা, আরবী মুকালামা, সাহিত্য চর্চা এবং প্রয়োজনে শরীর চর্চা করবে।
২০। উক্ত সময়ের মধ্যে ব্যক্তিগত কোন প্রয়োজনে বাইরে যেতে পারবে, তবে ইশার পরে কেউ বাইরে যেতে পারবে না।
২১। মাগরিবের ২০ মিনিট পূর্বে ঘন্টা বাজানো হবে। অতঃপর ইস্তিঞ্জা অযুসহ সকল জরুরত থেকে ফারেগ হয়ে আযানের ১০ মিনিট
পূর্বেই মসজিদে উপস্থিত হয়ে যিকির ও দুআয় লিপ্ত হবে।
২২। মাগরিবের নামায শেষে আউয়াবীন নামায পড়ে নিজ নিজ রুমে গিয়ে সূরা ওয়াকেআ পড়ে ছবক ইয়াদ করতে লেগে যাবে।
২৩। গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ ১ লা এপ্রিল থেকে ৩১ শে অক্টোবর পর্যন্ত সূরা ওয়াকেআ তিলাওয়াতের পর থেকে রাত ৮ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত
সবক ইয়াদ করবে। ৮ টা ৪০ মিনিট থেকে ৮ টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে ইস্তিঞ্জা অযু থেকে ফারেগ হয়ে ইশার নামাযের ০৫ মিনিট পূর্বে
মসজিদে উপস্থিত হবে।
২৪। শীতকলে অর্থাৎ ১লা নভেম্বর থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত সূরা ওয়াকেআ তিলাওয়াতের পর থেকে রাত ৮ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত
ছবক ইয়াদ এবং মুতালাআ করবে। আর ৮ টা ১৫ মিনিট থেকে রাতের খানা এবং ইস্তিঞ্জা অযু থেকে ফারেগ হয়ে ইশার
নামাযের ০৫ মিনিট পূর্বে মসজিদে উপস্থিত হবে।
২৫। ইশার নামায শেষে সূরা মুল্ক ও মুজ্জাম্মিল খতম করে দুআয় অংশ গ্রহণ করবে।
২৬। দুআ শেষে রাতের খানা এবং ইস্তিঞ্জা অযু থেকে ফারেগ হয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করবে
২৭। দুআ শেষে রাত ১০ টা পর্যন্ত মনযোগের সাথে ছবক ইয়াদ বা মুতালাআ করে ঘুমানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করবে
২৮। শীতকালে রাত ১০ টা ১৫ মিনিটের মধ্যে এবং গরমকালে রাত ১০ টা ৩০ মিনিটের মধ্যেঅবশ্যই ছুন্নাত তরীকায় শুয়ে পড়বে।
২৯। শুক্রবার ফজরের পর যিকির, দুআ ও তিলাওয়াত শেষে ৭ টা ৩০ মিনিট র্পযন্ত সবক মুখস্ত, কিতাব মুতালাআ, প্রয়োজনে তাকরারে
মশগুল থাকবে। ৭ টা ৩০ মিনিট থেকে ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিশ্রাম নিবে।৮.৩০ থেকে ৯ টার মধ্যে রুম, বারান্দা ও ইস্তিঞ্জাখানা
পরিস্কার করবে। অতঃপর নিজ প্রয়োজনাদী সেরে বিকাল ৩ টায় কিতাব মুতালাআয় লেগে যাবে।
৩০। প্রতি বুধবার জোহরের পর অবশ্যই তরবিয়াতী মজলিসে উপস্থিত থাকতে হবে।
আসসালামু আলাইকুম, আমি হাঃ মাওলানা মিরাজুল ইসলাম।(পরিচালক-মারকাজুল ইমাম আবূ হানিফা,পিরোজপুর) মুহতারাম আপনাদের মাদরাসার মহিলা শাখার আবাসিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি এবং মাসিক বেতন সহ সর্বমোট খরচ কত?এবং ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য কত নাম্বার নির্ধারিত আছে? জরুরী ভিত্তিতে জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো ইনশাআল্লাহ।